জানা যাচ্ছে এবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ফ্রীতে রেশন বন্ধ হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার গ্রাহকদের জন্য এটি খুবই খারাপ খবর। মোদী সরকার খুব তাড়াতাড়ি এই যোজনাটি বন্ধ করতে চলেছে বলেই খবর। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার পরে মোদি সরকার এই প্রকল্পটি বন্ধ করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের পরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই যোজনা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে আয় ও ব্যয়ের নানা হিসেব নিকেশ তুলে ধরে এই যোজনাকে বন্ধন করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এরকম সিদ্ধান্ত? বিশেষ করে দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী বিশাল সংখ্যক মানুষ যখন এই যোজনার ফলে উপকৃত হচ্ছিলেন, তাহলে হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের?
জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যয় বিভাগের পক্ষ থেকে এর কারণ হিসেবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, এই যোজনার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর বিশাল বোঝা সৃষ্টি হচ্ছে যার প্রভাব দেশের অর্থভান্ডার বা রাজকোষে পড়ছে,এই যোজনাকে আর বেশি সম্প্রসারিত করা হলে সেই বোঝা দিনের পর দিন আরও বেড়ে চলবে, এমনিতেই অতিমারীর সময় দেশ চরম অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয়েছে, তাই এখন যদি এই প্রকল্পকে আরো দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে রাজকোষে টান পড়বে, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাই ব্যায় বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারকে এই যোজনা বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছিলেন, কিন্তু এবার কপালে হাত এই সব মানুষদের। এই প্রকল্পের ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন ঠিকই কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিপুল পরিমাণে বোঝা চেপে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এই যোজনা আর ছয় মাস ও যদি চলে সেক্ষেত্রেও বিপুল আর্থিক বোঝা সরকারের মাথায় চেপে যাচ্ছে। এর ফলে ৮০,০০০ কোটি টাকার বিল বেড়ে ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। এই যোজনার ফলে খুবই বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ এর মার্চে এই যোজনার মেয়াদ আরও ৬মাস বৃদ্ধি করেছিল সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি করা হয়েছিল মেয়াদ। এই যোজনার জন্য বাজেটে ভর্তুকি হিসাবে ২.০৭ লক্ষ কোটি টাকা বন্টন করেছে সরকার। তাই ব্যয় বিভাগ ইতিমধ্যেই সরকারকে এই প্রকল্প বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই যোজনা আরো একমাস বেশি চলবে, অর্থাৎ অক্টোবর অব্দি গ্রাহকরা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেওয়া অতিরিক্ত রেশন পাবেন। তার কারণ জানুয়ারি মাসে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ না থাকার কারণে ওই মাসে এই ফ্রি রেশন দেওয়া হয়নি।
তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয় তা এখনো চালু থাকবে।