লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সমস্ত তথ্যকে ত্রুটি মুক্ত করতে চাইছে সরকার, অর্থাৎ সচ্চতা আনতে চাইছে। সেই কারণে বেশ কিছু উপভোক্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া আপাতত ভাবে বন্ধ করলো সরকার। পুনরায় তাদের তথ্য যাচাই করার পর টাকা দেওয়া হবে।
কোন মহিলাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করলো সরকার?
- একাধিক উপভোক্তার টাকা একটিমাত্র ব্যাংক একাউন্টে ঢুকেছে সেই ক্ষেত্রে সেইসব মহিলাকে টাকা দেওয়া বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
- একটি একাউন্টে নির্দিষ্ট হিসাবের থেকে বেশি টাকা ঢুকেছে সেই ক্ষেত্রে সেই একাউন্টটি যেই মহিলার তাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করা হলো।
- যেসকল মহিলারা নিজের কাস্ট সার্টিফিকেট না দিয়ে অন্যের SC/ST সার্টিফিকেট দিয়েছেন এবং ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করা হলো।
- অনেক ক্ষেত্রে জেনারেল এবং ওবিসি কাস্ট এর মহিলারাও SC/ST কাস্টের মহিলাদের মতো মাসে ১০০০ টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও টাকা দেওয়া বন্ধ হলো।
- আধার কার্ডে এবং ব্যাংক একাউন্টে আলাদা নাম থাকলে , সেই সকল মহিলাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে।
- যাদের বয়স ২৫ থেকে ৬০ মধ্যে নেই কিন্তু তবুও ভুল বশত বর্তমানে টাকা পাচ্ছেন তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।
- যে সকল মহিলারা আগে থেকেই অন্য ভাতার টাকা পেয়ে আসছেন অথচ লক্ষীর ভান্ডার এর টাকাও পাচ্ছিলেন তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে।
- তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকে যাদের KYC আপডেট করা নেই তাদের ক্ষেত্রেও টাকা সরকার দিতে পারছে না , তাদের একাউন্টে টাকা পৌঁছাচ্ছে না KYC না করবার জন্য।
উপরোক্ত মহিলারা আবার কবে টাকা পাবেন?
সরকারের তরফ থেকে ৭ ই ডিসেম্বরের মধ্যে এই সমস্ত মহিলাদের অর্থাৎ যাদের আবেদনপত্রে গড়মিল রয়েছে তাদের আবেদনপত্র আবার যাচাই করতে বলা হয়েছে। দরকার পড়লে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবার তথ্য যাচাই করতে বলা হয়েছে। তথ্য যাচাই করার পর যাদের আবেদনপত্র সঠিক থাকবে কিংবা যাদের আবেদনপত্র ভুল রয়েছে সেসব ভুল সংশোধন করার পর আবার তাদের একাউন্টে নিয়ম মাফিক সঠিক পরিমানে টাকা পাঠানো হবে।