আগামী ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই কার্যত এহেন আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর মতে, এটা ক্ষতি না করলেও ভয়ঙ্কর ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে ১৫টা দিন খুবই সাবধান থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে তাহলে রাজ্যে আরও কড়াকড়ির ইঙ্গিত দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা'র সংক্রমণ। বাংলাতে গত ৪৮ ঘন্টায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন যারা মধ্যে কলকাতাতেই অধিকাংশ। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইসোলেশনে রয়েছেন বলে একটি খবর প্রকাশিত হয়। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একই সঙ্গে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আমার অফিসার, সিপি সহ সমস্ত পুলিশ কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি তাঁর দুজন গাড়ির ড্রাইভার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় কীভাবে নবান্নে আসব? পায়ে হেঁটে?' প্রশ্ন মমতার।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত সমস্ত মানুষের দ্রুত সুস্থতা আরোগ্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত সবার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তবে আমি নিজেই জানি না কার কার কোভিড হয়েছে। তবে কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুযায়ী যদি ৩ দিন জ্বর থাকছে, ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে বলেছে কেন্দ্র।' তা সবাইকে মেনে চলার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে এদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের উপর জোর দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বলেন, কার কোভিড হয়েছে আমরা জানি না। তাই বাড়িতে বসেই কাজ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে গোটা রাজ্যে কতগুলি কনটেনমেন্ট জোন, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পাশাপাশি গত সাতদিনে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির সামগ্রিক একটা ছবি তুলে ধরেন তিনি। তবে মমতার কথায়, আগামী ১৫টা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়েটা সবাইকে আরও বেশী করে সাবধানে থাকার কথা বলেন তিনি। যদি এরকম ভাবেই করানো আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে তবে রাজ্য আবার সম্পূর্ণ লকডাউন বা সাপ্তাহিক লকডাউন দেখতে পারে।