লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় এক জন মহিলার অ্যাকাউন্টে এক মাসে অনেকবার আর্থিক সহায়তা পৌঁছচ্ছে বলে খবর পেয়েছে রাজ্য। প্রকল্পের ফর্ম যখন জমা পড়েছে, তখন এতটা খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। এখন একের পর এক ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আর্থিক সহায়তা পাঠানোর তালিকায় একই মহিলার নাম একাধিক বারও উল্লেখ রয়েছে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও একই। সেই উপভোক্তারা প্রতি মাসে একাধিক বার টাকা হাতে পেয়েছেন।
এমনকি যারা এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার যোগ্য নয় তারাও মাসের পর মাস টাকা পেয়েছে, আবার যাদের মাসে ৫০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল তারা ১০০০ টাকা করে পেয়েছে।
তাই এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সচ্ছতা আনতে সরকারের তরফ থেকে আবার ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কোন মহিলাদের আবার ডকুমেন্টস যাচাই করাতে হবে?
- একাধিক উপভোক্তার টাকা একটিমাত্র ব্যাংক একাউন্টে ঢুকেছে সেই ক্ষেত্রে সেইসব মহিলাদের আবার কাগজপত্র ভেরিফিকেশন করাতে হবে।
- যেসব মহিলাদের একাউন্টে নির্দিষ্ট হিসাবের থেকে বেশি টাকা ঢুকেছে সেই ক্ষেত্রে সেই মহিলাদের পুনরায় ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- যেসকল মহিলারা নিজের কাস্ট সার্টিফিকেট না দিয়ে অন্যের SC/ST সার্টিফিকেট দিয়েছেন এবং ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন তাদেরকে আবার সব কাগজপত্র ভেরিফিকেশন করাতে হবে।
- অনেক ক্ষেত্রে জেনারেল এবং ওবিসি কাস্ট এর মহিলারাও SC/ST কাস্টের মহিলাদের মতো মাসে ১০০০ টাকা করে পেয়ে গিয়েছেন তাদেরকে আবার সঠিক কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে ভেরিফিকেশন করাতে হবে।
- আধার কার্ডে এক নাম অর্থাৎ আবেদনকারীর এক নাম এবং ব্যাংক একাউন্টে আর এক নাম থাকলে , সেই সকল মহিলাদের নামের ত্রুটি সংশোধন করে আবার ভেরিফিকেশন করাতে হবে।
- যাদের বয়স ২৫ থেকে ৬০ মধ্যে নেই কিন্তু তবুও ভুল বশত বর্তমানে টাকা পাচ্ছেন তাদেরও ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন করে ভুল আবেদনকারীদের নাম বাদ দেওয়া হবে এবং তাদের কাছ থেকে আগে দেওয়া টাকা ফেরত নেওয়া হবে।
- যে সকল মহিলারা অন্য ভাতার টাকা পেয়ে আসছেন অথচ লক্ষীর ভান্ডার এর টাকাও পাচ্ছিলেন তাদেরও আবার কাগজপত্র যাচাই করে নাম বাদ দেওয়া হবে এবং টাকা ফেরত নেওয়া হবে।
ভেরিফিকেশনের সময় কী কী কাগজপত্র লাগবে?
- আঁধার কার্ড
- ব্যাংকের পাশবই
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (যদি থাকে)
- কাস্ট সার্টিফিকেট(যদি থাকে)