পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প(Lakshmir Bhandar Scheme) । বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মমতা রাজ্যবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই প্রকল্প চালু করার। সেইমতো তৃতীয়বার সরকারের ক্ষমতায় আসার পরে সেই প্রতিশ্রুতিও রেখেছেন তিনি। তার কথা মতোই বাংলাতে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই চালু হয় এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫-৬০ বছরের SC/ST মহিলারা পেয়ে যান প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং বাকি মহিলারা পান ৫০০ টাকা করে।
কিন্তু প্রায় ৮০ লক্ষ মহিলা আবেদন করার পর এখনও অব্দি একটি টাকাও পাননি। কারণ তাদের আবেদনপত্রে ভুলত্রুটি ছিল। তাদের মধ্যে থেকে কারোর কারোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা রয়েছে, কারোর কারোর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সমস্যা তো আবার কারোর কাস্ট সার্টিফিকেট সমস্যা।
রাজ্য জুড়ে ২-১০ জানুয়ারি ও ২০-৩০ জানুয়ারি প্রথম রাউন্ড ও দ্বিতীয় রাউন্ডে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু করোনার বাড়বারান্তে সেই ক্যাম্প আপাতত স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত জানানো হয়েছে এই ক্যাম্প আবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হবে। তো যারা যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন, কিন্তু আবেদনে ভুল থাকার জন্য এখনও অব্দি একটি টাকাও পাননি, তাদের জন্য সেখানে স্পেশাল কাউন্টারও থাকবে, যাদের যেখানে সমস্যা রয়েছে সেখানে বলে দেওয়া হবে এবং আবেদনপত্র সংশোধন করানো হবে।
তো এখন প্রশ্ন যারা এখনও অব্দি টাকা পাননি, এবং এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র সংশোধন করাবেন তারা কি ফেব্রুয়ারি থেকেই টাকা পাবেন? তো এর উত্তরে জানিয়ে রাখি, ফেব্রুয়ারিতে সেই সমস্ত ভুল অবদনপত্রের সংশোধন হবে,তারপর ভেরিফাই করা হবে যা কিনা একটু হলেও সময় সাপেক্ষ এবং আপনারা হয়তো জানেনই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা দেওয়া হলে সেটা মাসের শুরুতেই দেওয়া হয়।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন ফেব্রুয়ারি মাসে যেসমস্ত আবেদনপত্র সংশোধন হবে সেগুলোর টাকা ফেব্রুয়ারিতে আর পাওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
যদি সেই সমস্ত আবেদনপত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই খতিয়ে দেখে ভেরিফাই করে দেওয়া হয় তবে মার্চ মাস থেকে হিসাব মাফিক টাকা পেতে থাকবেন, তবে যারা এই প্রকল্পের টাকা নিয়মিত পাচ্ছেন, তারা সেরকম ভাবেই প্রতি মাসেই টাকা পেতে থাকবেন।